প্রকরণের আলোকে তারাশঙ্করের গ্রামকেন্দ্রিক উপন্যাস
- তুষার পটুয়া
তারাশঙ্কর নিজে পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে বিশেষ পরিচিত ছিলেন না “আমি তো ইংরিজিও ভালো জানি না। যেটুকুও জানি তার উপযুক্ত পড়বার বইও পাই না আমার দেশে। কোথায় পাবো? ওদের দেশের গল্প তো আমি বেশি পড়িনি।” সুতরাং তারাশঙ্কর বাংলা কথাসাহিত্যে আমাদের সামনে গড়ে তুললেন একটি দেশজ মডেল। তারাশঙ্কর সম্পর্কিত বহুশ্রুত আলোচনার পুনরাবৃত্তি না করে পৌছাতে চেয়েছি তার চেতনার গভীরে। তারাশঙ্করের সমগ্র উপন্যাস তথা গ্রামকেন্দ্রিক ও নগরকেন্দ্রিক উপন্যাস। ভাবনার তুলনা-প্রতিতুলনা ও মূল্যমান নির্ণয়ের এই আলোচনা তাই ‘ফর্ম থেকে কন্টেন্টে’-এ যাওয়ার একরকম প্রচেষ্টা। বাংলাসাহিত্যে তারাশঙ্কর চর্চায় একটি সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থেকেছেন অনেক প্রাক্তন সমালোচকরা। উপন্যাসের অন্বেষণে কী আছে, কী বলা হল বা বলা হয়েছে—এ আলোচনাকে বলা হয় বিষয়ের (Content) আলোচনা, আধুনিককালে তারাশঙ্কর সম্পর্কে যা বহুচর্চিত বিষয়। আমাদের লক্ষ্য ‘প্রকরণ’ (Form) থেকে ‘বিষয়’ (Content)-এ পৌছানো। আমাদের এই প্রকরণ নিয়ে ভাবনা, যা তারাশঙ্করের গ্রামকেন্দ্রিক উপন্যাসকে নতুন করে বুঝবার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলেই ধারণা।
১৯৮১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম ‘ঝিল্লী’তে জন্ম। গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক পাঠ গ্রহণের পর বীরভূম জেলার নগরী শুধাংশুবদনী শিক্ষানিকেতন থেকে মাধ্যমিক। শান্তিনিকেতনের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর এবং এই বিভাগ থেকেই ২০১৩ সালে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ। সহকারী শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবনের সূত্রপাত ২০০৪ সালে বীরভূমের জাজিগ্রাম এস.এ. হাই স্কুলে। ২০১২ সালে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান ও বর্তমানে এই বিভাগে অধ্যাপনার সাথে সংযুক্ত। প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য, রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর, বঙ্কিমচন্দ্র, সাম্প্রতিক বাংলা। উপন্যাস ও বাংলা কথাসাহিত্যের নানাদিক নিয়ে গবেষণামূলক চর্চাতে বিশেষভাবে আগ্রহী।